৩০০ টাকায় ১৫ জনের ক্ষুধা মেটানোর আইডিয়া

৩০০ টাকায় ১৫ জনের ক্ষুধা মেটানোর আইডিয়া! 

এত ছোট কাজ করে ফেসবুকে পোস্ট দেয়ার জন্য বক্তব্যের শুরুতেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। বাসার সামনে দিয়ে প্রতিদিন প্রচুর মানুষ খাবার চেয়ে বেড়ায়। যারা খাবার চায় এরমধ্যে ১০/১২ বছরের বাচ্চারাও আছে৷

নিজে খুব হীনমন্যতায় ভুগি। নিজেরা খাচ্ছি অথচ অন্যদের জন্য তেমন কিছুই করতে পারছি না। আমি সাধারণ ব্যবসায়ী তাই অর্থ সম্পদের প্রাচুর্য্য নেই। আবার দায়িত্ববোধের দহন আছে।

হঠাৎ মাথায় আসল একটা ডিমের দাম ৭ টাকা। তখনই ভাবলাম তাহলে একটা ডিম সাথে একটু চাল+ডাল দিয়ে ভুনা খিচুড়ি করলে নিশ্চয়ই আরও ৮/১০ টাকার বেশি খরচ পড়বে না।

এই ভাবনা থেকে আমার সহধর্মিণীর সাথে আলাপে বসলাম। সে এই ব্যাপারগুলো অনেক ভালো বুঝে। এরপর নেমে গেলাম মিশনে। এক কেজি চাল+আধা কেজি ডাল+গাজর বরবটি আলু শসা দিয়ে মিশন শুরু হয়ে গেল। বাজার থেকে ওয়ানটাইম প্যাকেট আনলাম। দেখলাম মোট ১৫ প্যাকেট হল। ১৫ টা ডিম সিদ্ধ করে ভেঁজে প্রতি প্যাকেটে একটা করে বসিয়ে দিলাম। ওয়ানটাইম প্যাকেট পড়ল দুই টাকা করে।
সকল হিসাব করে দেখলাম এই ১৫ প্যাকেট তৈরি করতে আমার খরচ হয়েছে ৩০০ টাকা। অন্য কেউ করলে হয়ত খরচ একটু কমতে বা অল্প একটু বাড়তে পারে।

এই ১৫ প্যাকেট খাবার প্রয়োজনের তুলনায় কিছুই না। কিন্তু এই মহামারী কালে ১৫ জন মানুষ এক বেলা খেতে পারবে। ১৫ টা শিশু বা ১৫ জন বৃদ্ধ একবেলা খেতে পারবে। খাবারটা হাতে পাওয়ার পর এদের চোখে যে একটা তৃপ্তির হাসি দেখা দেয় তা শুধু উপলব্ধি করা যায়। তাই যাদের অল্প কিছুটা হলেও সামর্থ্য আছে তারা সপ্তাহে একবার হলেও এটা করে দেখতে পারেন।

জানি অনেকেই ভাবতে পারেন, ছোট কাজ করে প্রচার করছি,আমি খুবই ছোট লোক। আসলেই আমি খুবই সাধারণ মানুষ। ছোট লোক তো বটেই। আমি আপনার ভাবনায় বাধা দেব না। আপনি আপনার নিজ দায়িত্বে আমাকে নিয়ে ভেবে যান ভাল মন্দ যা খুশি। আমি পোস্টটি দিয়েছি যারা আমার মত অর্থ সম্পদের প্রাচুর্য্য না থাকা সত্ত্বেও কিছু করার ইচ্ছা রাখেন যাকে প্রবাদে বলে 'গরীবের ঘোড়া রোগ' তাদের উদ্দেশ্যে। সাহস করে একদিন করেন তাহলেই দেখবেন আয়ত্বে চলে এসেছে। আরও কয়েকদিন করতে পারবেন। গরীবের ঘোড়া রোগকে স্বাগত জানাই।

আমার এই পোস্টের মূল বক্তব্য হল "৩০০ টাকায় ১৫ প্যাকেট মডেল" ছড়িয়ে পড়ুক প্রত্যেক পাড়া মহল্লায়। যুব সমাজ সহজেই বাস্তবায়ন করতে পারবে এই প্রজেক্ট। আমার বর্তমান প্রজেক্ট আরও কিছু দিন চালিয়ে যাব।

[ আপনার কাউকে আর্থিক সাহায্য করার সামর্থ্য নেই। কিন্তু যাদের সামর্থ্য অল্প হলেও আছে তাদেরকে তো অন্তত শেয়ার করে এটা জানাতে পারেন। টাইমলাইনে শেয়ার করুন। এতে ৫০০ জন যদি দেখে এবং সেখান থেকে একজন যদি এরকম উদ্যোগ নেয় তবে অন্তত ১৫ জন খেতে পারবে। এই ছোট্ট কাজটা কি করা যাবে না?]

এই পোস্টটি সংগৃহীত এবং অন্যদের প্রাণিত করার মানসে শেয়ারকৃত।

Post a Comment

0 Comments