সেকেন্ড হ্যান্ড (ইউজড) হাইব্রিড গাড়ি কেনার আগে যে বিষয়গুলো অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে


সেকেন্ড হ্যান্ড (ইউজড) হাইব্রিড গাড়ি কেনার আগে যে বিষয়গুলো অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে,

আমাদেন দেশের মানুষের কাছে ফুয়েল ইফিসিয়েন্সী খুব বড় একটা ফ্যাক্ট। কেউ একটা গাড়ি কিনতে গেলে সবার আগে দেখে গাড়িটার মাইলেজ কেমন। তো এই ফুয়েল ইফিসিয়েন্সীর কথা চিন্তা করলে সেকেন্ডহ্যান্ড হাইব্রিড গাড়ি কিন্তু খুব ভালো একটা অপশন। ইউজড হওয়ায় দামও এফোর্ডেবল, মাইলেজও খুব ভাল। হাইব্রিড যেহেতু ঢুকেছে বেশীদিন হয়নি তবু এরমধ্যে সেকেন্ডহ্যান্ড হাইব্রিড অলরেডি এভেইলেবল হয়ে গেছে। এক্সিও,একুয়া,ফিল্ডার, নোয়া,গ্রেস,ভেজেল,এক্স ট্রেইল অনেক ইউজড হাইব্রিড পাওয়া যায়। সবদিক মিলিয়ে অবশ্যই সেকেন্ড হ্যান্ড হাইব্রিড গাড়ি কেনা সব দিক দিয়েই ওয়াইস একটা ডিসিশান। তবে কিছু ব্যাপার কেনার আগে অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে। সেগুলো নিয়েই কথা বলবো আজকে।

use car
Add caption
একটা নন হাইব্রিড গাড়ির সাথে হাইব্রিডের ডিফারেন্স তেমন খুব একটা নেই, ব্যাটারি, পাওয়ারট্রেইন আর এ্যাডভান্স কম্পিউটার ছাড়া। এগুলা ছাড়া নরমাল একটা গাড়িতে যে যে প্রবলেম হাইব্রিডেও সে একই প্রবলেম। তো এগুলা বাদে নরমাল একটা গাড়ি কিনতে গেলে আপনি যেরকম চেক করতেন যেমন ইঞ্জিন,ট্রান্সমিশন,টায়ার এরকম অন্যান্য পার্টগুলোও সেভাবে চেক করবেন হাইব্রিড কিনতে গেলে সেম একইভাবে চেক করবেন। আজকে ঔদিকে যাবনা আজকে কথা বলবো হাইব্রিড গাড়ি হিসেবে স্পেশালি কি কি চেক করে নিতে হবে।

হাইব্রিডের কথা আসলে ব্যাটারির কথা সবার আগে আসে। আপনারা জানেন সব হাইব্রিড গাড়িতেই একটা ১২ ভোল্টের নরমাল ব্যাটারির সাথে একটা হাই পাওয়ারড হাইব্রিড ব্যাটারিও থাকে। আপনি যখন ইউজড় হাইব্রিড কিনছেন আপনাকে অবশ্যই দেখতে হবে ব্যাটারির লাইফ সার্কেল কতদিন পাছ করেছে। আপনাকে আর কতদিন পরে ব্যাটারি রিপ্লেস করার দরকার হতে পারে। এটা জানার জন্য আপনাকে ওই গাড়ির অকশন শীট অনলাইনে চেক করে দেখতে হবে গাড়িটার অরজিনাল মাইলেজ কত ছিলো। তারপর দেখতে হবে বর্তমানে কত চলছে। একটা গাড়ি সাথারণত লাখ ৬০ হাজার কিলো পর্যন্ত হাইব্রিড পাওয়ারট্রেন ওয়ােন্টি থাকে। আবার কিছু কিছু . লাখের বেশীও থাকে। হিসেব করুন টোটাল কত কিলো চলেছ আর বাকি কত কিলো আছে। তাহলেই ব্যাটারির লাইফ সার্কেল নিয়ে একটা আইডিয়া পেয়ে যাবেন। এখন যেটা বললাম সেটা হচ্ছে ঘরে বসে ব্যাটারি নিয়ে মোটামুটি একটা ধারনা পাওয়ার আইডিয়া। পদ্ধতি ছাড়াও আরেকটা মেথড আছে, আপনি যে কোন রেপুপেড ওয়ার্কশপে গিয়ে ফিজিক্যালি ব্যাটারির কন্ডিশন চেক করতে পারেন, তাদের কাছে হাইব্রিড ব্যাটারির লাইফস্প্যান চেক করার ইকুইপমেন্ট আছে। ওরা চেক করে বল দিতে পারবে ব্যাটারি আর কতদিন টিকতে পারে, তারপর যদি আপনার মনে হয় নেওয়া যায় তাহলে কথা বলতে পারেন।

ইলেকট্রিক মোটরটাও চেক করে দেখতে পারেন কন্ডিশন কেমন। তবে সাধারণত চেক করার দরকার হয়না কারন এই মোটরগুলো খুব সহজে নষ্ট হয়না। যদি এটা আপনার প্রথম হাইব্রিড গাড়ি হয় তাহলে একবার টেস্ট ড্রাইভ দিন। ডেফিনেটলি কনভেনশনাল গাড়ি থেকে অনেক ডিফারেন্ট মনে হবে। ঘাবড়াবেন না, এখনকান হাইব্রিড গাড়িগুলো খুব এডভান্সড। পুরোটাই কম্পিউটার অপারেটেড। আপনি অনেক ফাংশান নাও বুঝতে পারেন, না বুঝলে যার কাছ থেকে গাড়ি কিনবেন তার কাছ থেকে পুরোপুরি সব বুঝে নিবেন। না বুঝে কোন ফাংশান চেঞ্জ করতে যাবেন না। প্রয়োজনে ইন্টারনেট ঘেটে দেখতে পােন অথবা আপনার গাড়ি রিলেটেড যে সব গ্রুপ আছে তাদের হেল্প নিতে পারেন। প্রয়োজনে গ্রুপের হেল্পও নিতে পারেন CarHub BD [ Official ]

use car


এটাই ছিল ইউজড হাইব্রিড গাড়ি কেনার আগে মোটামুটি কি কি বিষয়গুলো দেখতে হবে সেটা নিয়ে আমাদের আজকের লিখা। হাইব্রিড গাড়ি কিনতে ভয় পাবেন না, একবার সাহস করে কিনেই দেখুন আপনি ভালবেসে ফেলবেন। কমেন্ট করে আমাদের জানাতে পারেন আপনার কাদের হাইব্রিড সিস্টেম ভাল লাগে। টয়োটার নাকি হোন্ডার?
Post collect from: fb page : CarHub BD [ Official ]

Post a Comment

0 Comments