যারা যানেন না তাদের জন্য বলে রাখি, আপনি যখন কোন ডোমেইন কিনে নেন তখন সেটা আপনি একবারে পেয়ে যান না।





ডোমেইন কে এ পর্যায়ে আমি ২ ভাগে ভাগ করবো।

১) নতুন ডোমেইন

২) এক্সপায়ার্ড ডোমেইন



আপনি যদি কোন ডোমেইন রেজিস্ট্রার এর ওয়েবসাইটে যার এবং সেখানে কোন ডোমেইন লিখে সার্চ দেওয়ার পর যদি সেটা Available দেখায় তার মানেই সেটা নতুন ডোমেইন নয়।



যারা যানেন না তাদের জন্য বলে রাখি, আপনি যখন কোন ডোমেইন কিনে নেন তখন সেটা আপনি একবারে পেয়ে যান না।



ডোমেইনটাকে আপনার কাছেই রেখে দেওয়া জন্য প্রতি বছর আপনাকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা দিতে হয়। যখনই আপনি সেটা দিতে ব্যর্থ হবেন তখন ওই ডোমেইনটি আবার রেজিস্ট্রার এর ওয়েবসাইটে Available হয়ে যাবে।



এধরনের ডোমেইনকে আমরা এক্সপায়ার্ড ডোমেইন বলে থাকি। আর নতুন ডোমেইন হল সেগুলো যেগুলোর কোন পাস্ট হিস্টোরি নেই। অর্থাৎ আপনার আগে কেউ কখনো ওই ডোমেইনটি কেনে নি। আপনিই সর্বপ্রথমবারের মত ওই ডোমেইনটি রেজিষ্ট্রেশন করছেন।



এবার আমি সুবিধা ও অসুবিধার দিকেঃ



এক্সপায়ার্ড ডোমেইন এর সুবিধা হচ্ছেঃ

এই ধরনের ডোমেইন এর ব্যাক হিস্টোরি থাকে। অর্থাৎ আপনার আগে যদি কেউ ওই ডোমেইন দিয়ে সাইট বানিয়ে থাকে তাহলে আপনি চরম কিছু এসইও বেনিফিট পাবেন।



এর মধ্যে প্রথম সুবিধা হচ্ছে, এক্সপায়ার্ড ডোমেইন গুগল স্যান্ডবক্স পিরিয়ড ওভারকাম করা অবস্থায় থাকে। (যারা জানেন না Google Sandbox কি তারা কমেন্ট করে জানাবেন। আমি পরবর্তী No One Will Tell You তে ওটা কভার করে দেব।)



 এছাড়া ভালো একটি এক্সপায়ার্ড ডোমেইনে আগে থেকেই ডোমেইন অথরিটি (DA) এবং রিলেভেন্ট ব্যাকলিংক থাকে। যার ফলে আপনার সাইটকে র‌্যাংক করা অনেক বেশি সহজ হয়ে যায়।



এক্সপায়ার্ড ডোমেইন এর অসুবিধা হচ্ছেঃ

আপনার যদি ভালো এক্সপায়ার্ড ডোমেইন খুজে বের করার মত অভিজ্ঞতা না থাকে তাহলে আপনার জন্য কখনোই এক্সপায়ার্ড ডোমেইন ভালো কিছু বয়ে আনবে না।



অনেক সাইট গুগলে পেনাল্টি খাওয়ার কারণে বন্ধ হয়ে যায় এবং ডোমেইন এক্সপায়ার্ড হয়ে যায়। আবার অনেকে আছে যারা পিবিএন বা স্প্যামিং এর কাজে ডোমেইন কিনে থাকেন এবং পরে সেগুলো রিনিউ করেন না।



এমন কোন ডোমেইন যদি আপনি কিনে বসেন তাহলে আপনার ওয়েবসাইট আপনার কাছে নতুন হলেও গুগলের কাছে সেটা পেনাল্টি খাওয়া সাইটই থাকবে। ফলে আপনি যতই পরিশ্রম করেন আর যত টাকাই খরচ করেন না কেন। সাইট র‌্যাংক করানো প্রায় অসম্ভব।



নতুন ডোমেইন এর সুবিধাঃ

এটা সম্পূর্ণ ক্লিন অবস্থায় থাকে। আপনার পেনাল্টি খাওয়ার মত কোন ভয় থাকবে না।



নতুন ডোমেইন এর অসুবিধাঃ

আগে থেকে কোন ব্যাকলিংক বা অথরিটি না থাকায় সবকিছু শুরু থেকে আপনার নিজেরই করতে হবে।



যেখাবে ডোমেইন চিনবেনঃ

আমি আগেই বলেছি আপনি যদি কোন ডোমেইন রেজিস্ট্রার এর ওয়েবসাইটে যার এবং সেখানে কোন ডোমেইন লিখে সার্চ দেওয়ার পর যদি সেটা এভেইলেবল দেখানো মানেই সেটা নতুন ডোমেইন নাও হতে পারে।



এপর্যায়ে আপনাকে web.archive.org তে যেয়ে ওই ডোমেইনটি লিখে সার্চ দিয়ে দেখতে হবে ওই ডোমেইনের কোন পাস্ট হিস্টোরি আছে কি না। যদি না থাকে তাহলে সেটা একটা নতুন ডোমেইন।



ডোমেইন নেমঃ

আমি অনেক মানুষ দেখেছি যারা কোন কিছু না বুঝেই ডোমেইন নিয়ে বসে থাকেন। যেদিন মাথায় আসে এফিলিয়েট করবেন তার পরের দিনই আগে ডোমেইন হোস্টিং কেনেন। আমার চোখে এটা চরম বোকামি।



নিশ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার পরেই ডোমেইন কেনা উচিত। যদিও আসি ব্যক্তিগতভাবে নিশ, কিওয়ার্ড রিসার্চ, কম্পেটিটর এনালাইসিস শেষ করে তারপরেই ডোমেইন কিনি। কারণে আমি আসলেই সেই নিশে ভালো কিছু করতে পারবো কিনা সেটা শিওর না হয়ে ডোমেইন কিনতে পছন্দ করি না আমি।



তবে আপনি যদি কোন ব্র্যান্ডেবল ডোমেইন কেনেন পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী সেটার কথা আলাদা।



একটা ডোমেইনকে আমি তখনই ভালো বলবো যখনঃ

ডোমেইনটা যতটা সম্ভব ছোট হবে। সর্বোচ্চ ২ শব্দের। এতে ডোমেইনটা মনে রাখা ভিজিটরের জন্য সহজ হয়।

উদাহরনঃ

healthykitchen.com



যখন ডোমেইন এর কোন মানে থাকে। আপনার ডোমেইনটা যদি আপনার নিশকে বোঝাতে পারে সেটা সবচেয়ে ভালো হয়।

উদাহরনঃ healthykitchen.com



যখন ডোমেইনে কোন বানান ভুল না থাকে। অনেকে দেখি কোন একটা নাম নেওয়া জন্য অতিরিক্ত " S " যুক্ত করেন। করতে পারেন। সমস্যা সেই। সমস্যা তাদের যারা " S " এর পরেও আরও " S " যুক্ত করেন। এতে ভিজিটর ডোমেইন মনে রাখতে পারে না এবং আপনার কম্পেটিরের সাইটে চলে যাওয়া সম্ভাবনা ৯০%।



যেমন ধরুন আমার একটা ডোমেইন মাথায় আসলো যেটার নাম healthykitchen.com। কিন্তু আমি সার্চ দিয়ে দেখলাম healthykitchen.com বা healthykitchens.com কোনটাই নেই। এখন আমার তো ওই নাম লাগবেই, আমি কি করলাম। আরো একটা " S " দিয়ে দেখলাম healthykitchenss.com পাওয়া যাচ্ছে এবং নিয়েও নিলাম।



এটা করলে আপনার তো কোন লাভ হবেই না, লাভ হবে আপনার কম্পেটিটরের কারণ ভিজিটর প্রথমবার আপনার সাইটে আসলেও আপনার Misspelling মনে রাখতে পারবে না। পরের বার সে সার্চ করে বা টাইপ করে আসতে চাইলে সঠিক বানা লিখে সার্চ করবে বা টাইপ করবে এবং আপনার কম্পেটিটরের সাইটে চলে যাবে।



আমার পরামর্শঃ

১) আগেই ডোমেইন নেওয়ার জন্য পাগল হবেন না। নিশ রিসার্চটা অন্তত শেষ করে তার পরে নিশ রিলেটেড ডোমেইন নিন।



যারা ব্র্যান্ড ডোমেইন নিবেন তারাও আগে পরিকল্পনা করুন। তারপরেই কিনুন।



২) ডোমেইনের নাম যতটা পারেন ছোট রাখুন। ২ শব্দের মর্ধে অর্থপূর্ণ কোন নাম খুজুন।



৩) যদি আপনার বা পরিচিত কারো এক্সপায়ার্ড ডোমেইনের অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে এক্সপায়ার্ড ডোমেইনের চেয়ে ভালো কিছু নেই। কিন্তু যদি অভিজ্ঞতা না থাকে তাহলে নতুন ডোমেইন নিয়ে শুরু করুন।



৪) কখনই Misspelling করবেন না। এতে না আপনার ক্ষতি ছাড়া লাভ হবে না। নোট ৫ঃ ডোমেইন সিলেকশনঃ



নিশ রিসার্চ, কিওয়ার্ড রিসার্চ, কম্পেটিটর এনালাইসিস এই ৩টি কাজের পরেই সাইট ডেভেলপমেন্ট শুরু করতে হয়। যার প্রথম ধাপ হচ্ছে ডোমেইন সিলেকশন।



৪) কখনই Misspelling করবেন না। এতে না আপনার ক্ষতি ছাড়া লাভ হবে না।

Post a Comment

0 Comments