সহজ উত্তর হ্যা যাবে। তবে এর জন্য কিছু কন্ডিশন আছে। আমদানি নীতি অনুযায়ী কোন ব্যাক্তি যদি রেসিডেন্স ট্রান্সফার করে বাংলাদেশে চলে আসে তাহলে তিনি তার ইউজ করা গাড়ি দেশে নিয়ে আসতে পারবে। এর জন্য তার নূন্যতম 2 বছর বা তার বেশি ওই দেশে থাকতে হবে। মনে রাখবেন রেসিডেন্স ট্রান্সফার করে কিন্ত আসতে হবে। এবার দেখা যাক গাড়ি নিয়ে আসার শর্ত গুলো কি কি,
- ৫ বছরের পুরনো গাড়ি আনা যাবেনা।
- যে দেশে ব্যবহার হয়েছে ওই দেশের রেজিস্ট্রেশন কান্সেল করে সারটিফিকেট নিতে হবে।
- গাড়ীর উইনশিল্ড আর সামনের দুই দরজার গ্লাস ট্রান্সপারেন্ট থাকতে হবে এবং সীট বেল্ট থাকতে হবে।
- পেট্রোল গাড়িতে ক্যাটালিটিক কনভার্টার আর ডিজেল গাড়িতে ফুয়েল ফিল্টার থাকতে হবে মাষ্ট।
- ওই দেশে বাংলাদেশের দূতাবাসকে একটা প্রত্যয়ন পত্র দিতে হবে, পত্রে তার পাসপোর্ট নাম্বার, বিদেশে থাকার মেয়াদ, বাৎসরিক আয়, পেশা ইত্যাদি উল্লেখ থাকতে হবে
- গাড়ীর ইনভয়েস, প্যাকিং লিস্ট অন্যন্য ডকুমেন্ট দূতাবাস থেকে অথরাইজ করে নিতে হবে।
- যাত্রী বিমানবন্দর ছাড়ার সময় "এ" ফর্ম নিতে হবে। সেটা পরে গাড়ি ছড়ানোর সময় দাখিল করতে হবে।
তো এই ছিলো শর্ত! শুনে অনেক জটিল মনে হতে পারে। আসলে অতটাও জটিল না, চেষ্টা করলে সব ডকুমেন্টই ম্যানেজ করা পসিবল। যদিও সময় লাগতে পারে আর অনেক দৌড়াদৌড়িও করা লাগতে পারে। এবার আসা যাক ট্যাক্সের ব্যাপারে,
ট্যাক্স দিতে হবে রিকন্ডিশন গাড়ীর মতই। আর যদি গাড়িটা নতুন কোন গাড়ি হয় যেটা আগে রিকন্ডিশন হিসেবে ইমপোর্ট করা হয়নি তাহলে কাস্টম ইন্টারনেট, অথবা গাড়ীর ওয়েবসাইট থেকে ইনফরমেশন নিয়ে নিজে একটা ট্যাক্স ঠিক করে দিবে। ওই রেটেই ট্যাক্স দিয়ে গাড়ী ছাড়াতে হবে। তো এই ছিলো বিদেশ থেকে নিজের ব্যবহার করা গাড়ি আনতে হলে যা যা করতে হবে। খুব সরল ভাষায় বোঝানোর চেষ্টা করেছি; আশাকরি আপনাদের বুঝতে অসুবিধা হবেনা।
Join for more
CarHub BD [ Official ]
0 Comments