প্রসঙ্গঃ হাইব্রিড ব্যাটারি প্যাক রিপ্লেস
আপনাদের যাদের হাইব্রিড গাড়ি আছে তারা হাইব্রিড ব্যাটারি নিয়ে নিশ্চয় চিন্তায় আছেন ব্যাটারির ডেট শেষ হয়ে গেলে কি করবেন। ইউজুয়ালি ব্যাটারি ২ লাখ পর্যন্ত ইজিলি চলে। প্রিয়াসের হাইব্রিড ব্যাটারি তো ৪ লাখ+ চলার ও রেকর্ড আছে! দুই লাখ মানে আপনি যদি গাড়িটা ১ লাখ মাইলেজ অবস্থায় ও কেনেন তাহলে তাহলে দেশে অন্তত আরো ৭/৮ বছর চালাতে পারবেন। তারপরে গিয়ে হয়তো আস্তে আস্তে ব্যাটারি ডাউন হওয়া শুরু হবে। এখন ধরুন আপনি যথেষ্ট চালিয়ে ফেলেছেন এবার চেঞ্জ করার সময় এসেছে। এই অবস্থায় আমরা অনেকে পুরো ব্যাটারি প্যাকটা চেঞ্জ না করে যে যে সেলগুলো নষ্ট হয়েছে সেগুলো চেঞ্জ করার চিন্তা করি। এটা কিন্তু একটা ব্যাড প্রাকটিস, কারন একবার সেল খারাপ হওয়া শুরু করলে সেটা আর থামেনা। আজকে এইটা, কালকে ওইটা; কয়টা চেঞ্জ করবেন আপনি? তারউপর এক্সিস্টিং সেল আর নতুন সেলের ভোল্টেজ ম্যাচ হয়না, এটা আরেকটা বড় প্রবলেম। কারন কোম্পানির ব্যাটারির ভোল্টেজ আর আফটারমার্কেট ব্যাটারির ভোল্টেজ এক থাকে না। ভোল্টেজ ম্যাচ না করলে ট্রাবল কোড দিতেই থাকবে আর গাড়ির জন্যেও সেটা ক্ষতিকর। এজন্য দেখা গেছে সেল করলেও ট্রাবল কোড ঠিকই দেয়, ভোল্টেজ ম্যাচ করাতে পারেনা আর কিছুদিন পর পর আরেকটা সেল নষ্ট হওয়া তো আছেই।
তাই ব্যাটরি ট্রাবল দিলে সবচেয়ে ভালো হয় যদি আপনি পুরো প্যাকটা চেঞ্জ করে ফেলেন। তাতে সব সেল একটা স্ট্যাটিক ভোল্টেজে থাকবে এবং নতুন করে সেল যাওয়ার কোন পসিবিলিটি থাকেনা। তাছাড়া এখন ব্যাটারি প্যাকের দামও অনেক রিজনেবল রেঞ্জে চলে এসেছে। মার্কেটে রিকন্ডিশন বা ব্রান্ড নিউ দুই রকমই ব্যাটারি প্যাক পাওয়া যায়। তবে চায়নিজ ব্যাটারি প্যাক থেকে ১০০ হাত দূরে থাকবেন, তারচেয়ে কিছু টাকা খরচ করে অরজিনাল জাপানিজ নেওয়া হাজারগুন ভালো। ইনিশিয়ালি খরচ একটু বেশী হচ্ছে মনে হলেও হিসেব করলে দেখবেন যতদিন চালিয়েছেন ব্যাটরি প্যাকের টাকা অনেক আগেই উঠে গেছে।
0 Comments