চায়নিজ গাড়ি কেনার আগে যে বিষয়গুলো দেখতে হবে

লুক দেখে লাফ দিবেন না,
চায়নিজ গাড়ি কেনার আগে যে বিষয়গুলো দেখতে হবে।

আমাদের মার্কেটে এখন দেখছি চায়নিজ অনেক ব্রান্ড ঢুকেছে। অনেকে কিনতে চাচ্ছেন আর এই ব্যাপারে আমাদের ওপিনিয়ন জানতে চেয়েছেন আপনারা। একটা কথা বলবো আপনার যদি সিরিয়াস কোন ইস্যু না থাকে ডেফিনেটলি জাপানিজ টেকনোলজিতে যান। আই রিপিট সবার আগে প্রায়োরিটি লিস্টে সবার আগে জাপানিজ গাড়ি রাখেন তাহলে আপনার লাইফের বেস্ট ডিসিশানটা নিয়েছেন মনে করবেন। যাইহোক ইটস ইউর মানি আপনি যদি চায়নিজ কিনতে চান তাহলে সে ব্যাপারে আমাদের মতামত হলো,
ডিজাইন আর ফিচার এস ইউজ্যুয়াল দেখতে সুন্দর হবে আই ক্যাচি হবে এটা স্বাভাবিক সব চায়নিজ গাড়িতেই দেখা যায়। যেমনটা চায়নিজ ফোন গুলোতো দেখি যে ডিজাইন খুব সুন্দর দেখতে; ফিচারও ঠাসা। সো এটা বাদ দিয়ে বলি; প্রথমেই দেখতে হবে স্পেয়ার পার্টস এভেইলেভ্যিলিটি কেমন। যেহেতু চায়নিজ মেড তাই স্পেয়ার পার্টসের উপর ভরসা করা যায়না যে কোন সময় কিনতে হতে পারে। আপনি যে যায়গায় গাড়ি চালাবেন সেখানে তাদের অথোরাইজ ডিলার আছে কিনা সিউর হয়ে নিবেন। আপনি চট্টগ্রামে চালাবেন অথছ তাদের কোন ডিলার নাই বা শো-রুম নাই আছে ঢাকায়। তাহলে এভয়েড করাই ভালো কারন তারা যতই বলুক পার্টস কুরিয়ার করে দিবে রিয়েল লাইফে আপনাকে একবার একটা পার্টসের জন্য ঢাকায় দৌড়াতে হবে। বা আপনি চালাবেন এমন জায়গায় যেখানে যেখানে আশেপাশে কোন অথোরাইজ  ডিলার পয়েন্ট নাই তাহলেও এভয়েড করা ভালো। এবার আসা যাক রিলায়্যবিলিটি নিয়ে, জাপানিজ গাড়ির মতো রিলায়েবল তো হবেনা কখনোই বলতে হচ্ছেনা। একটা ১৯৯৮ সালের একটা টয়োটা ১১০ এখনো রাস্তায় স্মৃথলি চলছে। চায়নিজ গাড়িতে সেটা নাও হতে পারে দেখা গেল ৪-৫ বছর পর গাড়ির অবস্থা চরম বাজে; কোনরকমে টিকে আছে তাহলে এই ব্যাপারে আপনার একটা ডিসিশানে আসতে হবে আপনি কি ১৫-২০ বছরের রিলায়েব্যিলিটি চান নাকি ৫-৬ বছরের। বা তার পরে গিয়ে গাড়িটার কন্ডিশন কেমন থাকবে, থাকলেও সেটার ভ্যালু কত দাড়াচ্ছে নতুন দামের সাথে কম্পেয়ার করলে। আরেকটা বিষয় মাথায় রাখতে হবে গাড়িটা যদি আপনি ৪-৫ বছর চালানোর পর সেল করতে যান তাহলে গাড়িটার ব্রান্ড ভ্যালু কেমন পাবেন। অনেকে বলে ৪-৫ বছর চালনোর পর গাড়ি সেল দিলে আর রিসেল ভ্যালুর কথা চিন্তা করে লাভ কি যা পাই তাই। দিনের শেষে প্রত্যেকটা পয়সা হিসাব থাকতে হবে সেটা যত কমই হোক। ২৫ লাখ টাকা দিয়ে গাড়ি কিনে সেটা আমি ১৫ লাখ টাকায় সেল করতে পারিনা। বিশেষ করে যারা চায়নিজ গাড়ির দিকে যাবে তারা শখে চায়নিজ কিনছেনা; তাদের বাজেট টাইট  ছিল তাই অল্প বাজেটে গুড লুকের একটা গাড়ি কিনতে চেয়েছে তাই চায়নিজ গাড়ির দিকে মুভ করেছে। বাজেট থাকলে তারা ক্রাউন, একর্ডই কিনতো। সো  ১০ লাখ টাকাটা তাদের কাছে কোনভাবেই কম না; এটার চিন্তাও করতে হবে। সো লুকই সবকিছু না, আপনার যদি জাপানিজ নেওয়ার মতো এ্যবিলিটি বা চান্স থাকে তাহলে আমি বলবো ডেফিনেটলি জাপনিজ ই নিন; ঠকবেন না। আর যদি চায়নিজ নিতেই হয় তাহলে অবশ্যই এই ইস্যুগুলো খুব ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করে তারপর ডিসিশান নিন। দ্যাটস ইট এটা ছিল আমাদের সাজেশন।

Post a Comment

0 Comments