জুমআর দিনের সুন্নাহ ভিত্তিক কিছু আমল



গোসল করা, সুগন্ধি লাগানো, সূরা কাহফ পড়া, খুতবা শোনা


জুমআর দিনে হাদিসে বর্ণিত গুরুত্বপূর্ণ আমলগুলো এমন:


১. গোসল করা।

২. ফজরের ফরজ নামাজে সূরা সাজদা ও সূরা দাহর/ইনসান তিলাওয়াত করা।

৩. উত্তম পোশাক পরা।

৪. সুগন্ধি ব্যবহার করা।

৫. আগেভাগে মসজিদে যাওয়া।

৬. সূরা কাহফ তেলাওয়াত করা। (বৃহস্পতিবার সূর্যাস্ত থেকে শুক্রবার সূর্যাস্তের আগ পর্যন্ত যে কোনো সময়ে)

৭. জুমআ'র সালাতে মসজিদে গিয়ে কমপক্ষে দুই রাকাত সালাত আদায় করা।

৮. ইমামের কাছাকাছি গিয়ে বসা।

৯. মনযোগ দিয়ে খুৎবা শোনা। খুৎবা চলাকালে কোনো কথা না বলা।

১০. দুই খুৎবার মাঝের সময়ে বেশি বেশি দুয়া করা।

১১. অন্য সময়ে দুয়া করা। কারণ এদিন দু’আ কবুল হয়।

১৩. রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওপর সারাদিন যথাসম্ভব বেশি দরূদ পাঠ করা।


চলুন এবার জুমআ সম্পর্কে কয়েকটি হাদীস জেনে নিই।


আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, 


জুমু’আর দিন মসজিদের দরজায় মালাইকা (ফেরেশতাগণ) অবস্থান করেন এবং ক্রমানুসারে পূর্বে আগমনকারীদের নাম লিখতে থাকেন। যে সবার পূর্বে আসে সে ঐ ব্যক্তির ন্যায় যে একটি মোটাতাজা উট কুরবানী করে। অতঃপর যে আসে সে ঐ ব্যক্তির ন্যায় যে একটি গাভী কুরবানী করে। অতঃপর আগমনকারী ব্যক্তি মুরগী দানকারীর ন্যায়। অতঃপর আগমনকারী ব্যক্তি একটি ডিম দানকারীর ন্যায়। অতঃপর ইমাম যখন বের হন তখন মালাইকা (ফেরেশতাগণ) তাঁদের খাতা বন্ধ করে দিয়ে মনোযোগ সহকারে খুত্‌বা শ্রবণ করতে থাকেন। (বুখারী ৯২৯


আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জুমআ’র দিনের উল্লেখ করে বললেন, ‘এই দিনে এমন একটি মুহূর্ত রয়েছে যে, কোন মুসলিম বান্দা যদি এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে নামায পড়া অবস্থায় আল্লাহ্ নিকট কোন কিছু চায়, তাহলে তিনি তাকে অবশ্যই তা দান করেন। আর তিনি হাত দিয়ে ইঙ্গিত করে বুঝিয়ে দিলেন যে, সে মুহূর্তটি খুবই সংক্ষিপ্ত।’ (বুখারী ৯৩৫, মুসলিম ৮৫২)


আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘যে ব্যক্তি সুন্দরভাবে ওযূ করল, অতঃপর জুমআর নামাজ পড়তে এল এবং মনোযোগ সহকারে নীরব থেকে খুতবাহ শুনল, সে ব্যক্তির এই জুমআ ও (আগামী) জুমআর মধ্যেকার এবং অতিরিক্ত আরো তিন দিনের (ছোট) পাপসমূহ মাফ করে দেওয়া হল। আর যে ব্যক্তি (খুৎবাহ্ চলাকালীন সময়ে) কাঁকর স্পর্শ করল (অর্থাৎ বেখেয়ালে একটা পরে থাকা পাথর স্পর্শ করল), সে অনর্থক কর্ম করল।’’ (অর্থাৎ সে জুমআর সওয়াব বরবাদ করে দিল।) (মুসলিম)


তাই খুতবা চলাকালীন সময়ে মসজিদের দানবাক্স চালানো, মোবাইলে কোনো কিছু নিয়ে ব্যস্ত থাকা বা কথা বলা সব কিছুই জুমআকে নষ্ট করে দিবে। আমাদের উচিত জুমআর সময় সকল অনর্থক কাজ থেকে বিরত থাকা।

Post a Comment

0 Comments