CVT (Continuous Variable Transmission) কি?


 CVT (Continuous Variable Transmission) কি?
আসুন জেনে নিইঃ

বর্তমানে প্রায় সব গাড়িতেই ট্রান্সমিশন বা গিয়ার হিসেবে CVT
খুব জনপ্রিয়। কেন? স্মুথনেস! আপনি গিয়ার শিফট করলেন, ব্রেক ছেড়ে এক্সিলারেশন করলেন গাড়ি চলতেই থাকল। কোনো ধরনের ঝাকুনি ফিল করলেন না। বুঝলেনই না গিয়ার শিফট হচ্ছে কিনা। ট্র্যাডিশনাল অটোমেটিক গিয়ারে আপনার 1st, 2nd, 3rd, overdrive, double overdrive (L,2,D) এই সেকুয়েনশিয়ালে থাকে। কিন্তু CVT তে আপনি B এবং S মোড ছাড়া কিছু পাবেন না। কেনো না CVT তে গিয়ার এক্সিলারেশন অনুপাতে সর্বদা চেঞ্জ হতে থাকে। এবং এ সময় আপনি কোনো ল্যাগ ফিলই করবেন না।

এখন প্রশ্ন আসতে পারে B আর S মোড কি??
সিম্পলি B for Brake। তাহলে গিয়ারে ব্রেক এর কাজ কি?
এটা ইঞ্জিন ব্রেক। আপনি ঢালু রাস্তায় নামার সময় B মোডে চালাবেন। আপনার এক্সিলারেশন বাড়বে না। এটা আপনার ব্রেকিং সিস্টেমের অনেকটা কাজ হাল্কা করে দেয়। আর S হচ্ছে Sport মোড। এবার আসা যাক CVT গিয়ারের কিছু টিপ্স নিয়ে যা এই গিয়ারের মেইন্টেনেন্স এর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

১. আপনি রোড কন্ডিশন অনুযায়ী মোড সিলেক্ট করবেন। যেমন খাড়া পাহাড়ী রাস্তায় B মোড। নরমাল উচুনিচু তে D তেই চালাতে পারবেন।

২. Sport Mode সবসময় না চালানোতে আমি সাজেস্ট করব। কেনো না এই মোডে একটি নির্দিষ্ট গিয়ার রেশিওতে লক করে গাড়ির স্পিড বাড়ানো হয়। ফলে ইঞ্জিনের RPM থাকে হাই। এতে ক্লাচ এবং গিয়ার অয়েলে খুব বেশি প্রেশার পড়ে। ক্লাচ দ্রুত নষ্ট হওয়ার পসিবিলিটি হাই। আর একবার নষ্ট হলে চেঞ্জ করা ছাড়া আগের পারফর্মেন্স পাবেন না। খেয়াল করে দেখবেন S মোডে ইঞ্জিন RPM হাই থাকে।

৩. যথাসম্ভব হাই RPM এ গাড়ি না চালাতে চেষ্টা করবেন। মনে রাখবেন এটা রেসিং কার হিসেবে ডিজাইন করা হয়নি।আমি এমনও প্রবলেম পেয়েছেই যে গাড়ি হাই RPM চালানোর পর স্পিড ব্রেকারে এসে স্লো করে পার হওয়ার পরেই গাড়ি আর মুভ করে না। তার মানে গিয়ারের ক্লাচ শেষ।

৪. গিয়ার অয়েল চেঞ্জ করার সময় অবশ্যই মেনুফ্যাকচার রিকমেন্ডেট গিয়ার অয়েল ইউজ করবেন। অন্য কোনো গিয়ার অয়েল না।

এবার আসা যাক গিয়ার অয়েল চেঞ্জ এর ব্যাপারে।
গিয়ার অয়েল চেঞ্জ করার সময় শিউরলি গিয়ার অয়েলপ্যান খুলে ওয়াশ করে গিয়ার অয়েল চেঞ্জ করবেন। গিয়ার বক্স চেম্বারে একটা ফিল্টার থাকে, পারলে চেঞ্জ করে নিবেন। অনেকেই বলে গিয়ার অয়েল চেঞ্জ করার সময় অয়েল প্রেশার ক্যালিব্রেশন করতে হয়। ধারণাটি একদম ভুল। যেহেতু এই গিয়ারে কোনো লেবেলিং গজ নেই তাই টেম্পারেচার এর উপর ডিপেন্ড করে গিয়ার অয়েল লেভেল করতে হয় যে আপনি কতটুকু অয়েল ঢালবেন। এই জন্য গিয়ার অয়েল টেম্পারেচার দেখার জন্য গাড়িতে স্ক্যানার লাগাতে হয়। তো আজকে এই পর্যন্ত।

কারো কোনো জিজ্ঞাসা থাকলে করতে পারেন। ট্রাই করব জানা থাকলে আন্সার দিতে

Post a Comment

0 Comments